প্রতিবেশীদের সঙ্গে সীমান্ত সংকট কূটনৈতিকভাবে সমাধানের চিন্তা ভারতের
কাশ্মীর নিয়ে প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে বেশ দীর্ঘসময়ের দ্বন্দ্বে জড়িয়ে আছে ভারত। এবার ডোকলাম মালভূমি নিয়ে আরেক প্রতিবেশী চীনের সঙ্গে তাদের সীমান্ত সমস্যা কেবল বাড়ছেই। তবে এইসব সংকট সমাধানে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে কূটনৈতিকভাবে আগানোর পরামর্শ দিয়েছে ভারতের সব বিরোধী দল। শুক্রবার সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধী নেতারা এই বিষয়ে সরকারের পাশে থাকার অঙ্গিকার করেন।
ভারত, ভুটান ও চীন সীমান্তে চীনের সাম্প্রতিক ‘আগ্রাসী’ ভূমিকা নিয়ে বিরোধীরা তেমন কোনো প্রশ্ন না তুললেও কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি সরকারকে যথেষ্ট সমালোচনায় পড়তে হয়। তা সত্ত্বেও বিরোধীরা উপত্যকায় সন্ত্রাসী আক্রমণ কড়া হাতে মোকাবিলার কথা বলেছে। সম্প্রতি অমরনাথ যাত্রীদের ওপর জঙ্গি হামলাকে কাপুরুষোচিত আখ্যা দিয়ে বিরোধী নেতারা বৈঠকে বলেন, রাজ্যের সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জনগণের আস্থা অর্জনের চেষ্টা সরকারকে করতে হবে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সরকারি বাসভবনে গতকাল বিকেল সোয়া পাঁচটায় বৈঠকটি বসে। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে তা চলে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলিসহ পররাষ্ট্রসচিব এস জয়শঙ্কর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব রাজীব মহর্ষি এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।
সর্বদলীয় এই বৈঠকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি বিরোধী নেতাদের বলেন, ডোকলামসহ সমগ্র ভারত-চীন সীমান্তে সেনাবাহিনী সজাগ রয়েছে। বিরোধী নেতারা বৈঠকে বলেন, সীমান্ত সুরক্ষিত করতে যা যা করা দরকার, সরকার যেন তা করে। সব বিরোধী দলই এই প্রশ্নে সরকারের সঙ্গে আছে।
কংগ্রেস থেকে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন গুলাম নবী আজাদ। বৈঠকের পর তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সবার ওপরে। ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থ লাভের সময় এটা নয়। একই সুর সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, সমাজবাদী পার্টির মুলায়ম সিং যাদব, জনতা দল সংযুক্তর কে সি ত্যাগীসহ সবার কণ্ঠে। যদিও কাশ্মীর নীতি নিয়ে বিরোধী সুর চড়া। লোক জনশক্তি পার্টির রামবিলাম পাসোয়ান বলেন, সব দলই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সংসদে সরকারকে কাশ্মীর নিয়ে বিরোধী প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
0 comments:
Post a Comment